Bangladesh Ex-Cadets' Association (BECA) UTC,UOTC & BNCC EX-MEMBER

History of the Organization
  • 2022-12-30 14:38:51
BECA ৪৪ টি জেলা ইউনিটের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে: ক্রমান্বয়ে সব সিটি ও জেলায় বাংলাদেশে UTC/UOTC/JCC/BCC/BNCC সেনা, নৌ ও বিমান শাখার প্রাক্তন সদস্য/ক্যাডেটদের জন্য 'BECA' একটি ঐতিহাসিক নাম, একটি ব্যানার, একটি জাতীয় সংগঠন, আকাশের মতো অসীম বিশালায়তনের একটি ছাতা, একটি Mother organization. দেশ ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে থাকা এক্স-ক্যাডেটদেরকে একই ছাতার ছায়াতলে আনয়নের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে বেকা’র। বেকা যেহেতু সবার, সবাই যেহেতু বেকা’র; তাই বেকা চলছে ও চলবে স্বাভাবিক গতিতে। সবাইকে স্বাগত জানায় বেকা, স্বাগতম, সু-স্বাগতম। "UTC, UOTC, BNCC এর ১০০ বছরের ইতিহাস" আজ ২৩ মার্চ এই দিন অর্থাৎ BNCC'র জন্ম রহস্য ইতিহাস প্রকাশ করার জন্য অনেকে আমাকে অনুরোধ করেছেন কিছু লেখতে। আমি BNCC'র ১০০ বছরের জন্ম ইতিহাস নিয়ে কিছু ঘটনা জানাতে চাই, যা গত ১৬ ডিসেম্বর'২১ বেকা নিউজ বুলেটিন প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর ১৯১৯ সনে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহায়ক বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্যে সমগ্র ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে The Indian Tretorial Force Act 1920 পাস করা হয়। সংক্ষেপে একে ITF এ্যাক্ট বলা হয়। এ এ্যাক্ট পাশের প্রধান লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ সমর শক্তিতে ভারতীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামরিক প্রশিক্ষন চালু করা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় পার্লামেন্টে ITF এ্যাক্ট বিল পাস হয় ১৯২০ সনে। এই সময় ভারতের গর্ভনর জেনারেল ছিলেন লর্ড চেমসফোর্ড (১৯১৬-২১)। তাঁরই নিবেদিত উদ্যোগ ও প্রেরণায় UTC'র জন্ম হয়। তিনিই হলেন ক্যাডেট কোরের জনক বা ফাউন্ডার অর্থাৎ প্রতিষ্ঠাতা। UTC ( University Training Corps) ১৯২০ সানের ০১ অক্টোবর থেকে ১৯৪২ সন পর্যন্ত একই নামে চলে। ১৯৪৩ সনে এর নাম পরিবর্তন করে UOTC (University Officers Training Corps) নাম রাখা হয়। ১৯৪৩ হতে ১৯৭৯ সন পর্যন্ত UOTC নামে চলে। ২৩ মার্চ ১৯৭৯ সনে নাম পরিবর্তন করে BNCC (Bangladesh National Cadet Corps) করা হয়।  BNCC এসেছে UOTC থেকে। আর UOTC এসেছে UTC থেকে। তাই BNCC বুঝতে হলে UOTC-কে বুঝতে হবে। UOTC আজকের BNCC-র আদি প্রতিষ্ঠান। আমরা পিছনে তাকিয়ে দেখি কিভাবে UTC এবং UOTC হতে BNCC'র উদ্ভব হয়। ছাত্রদের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষন-সামরিক নিয়মানুবর্তিতা-শৃঙ্খলা-কর্তব্যনিষ্ঠ ও যোগ্য নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পৃক্ত দেশপ্রেম নাগরিক গড়ে তোলাই ছিল পরিকল্পনার কেন্দ্রীয় মূলমন্ত্র। ১৯২০ সনে ১ অক্টোবর The Indian Tretorial Force( ITF) Act পাশ হয়ে আজকের ভারতের NCC এবং বাংলাদেশের BNCC প্রশিক্ষণ আমরা দেখতে পাই। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আইনটি BTF নামে পরিচিত হয়। বিভিন্ন সনে প্রয়োজনের তাগিদে আইনে সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ সংশোধন হয় ১৯৪৯ সনে। এই আইনে একজন অধ্যাপক কে U.O বা Under Officer এবং সেনা প্রশিক্ষকদের ( স্টাফদের) O.R বা Other Rank নামে চিহ্নিত করা হয়। UTC বা BNCC - তে ক্যাডেট/ সার্জেন্টদের O.R নামে চিহ্নিত করার কথা ITF- তে উল্লেখ আছে। ১৯৫৫-৫৬ হতে U.O ব্যবহার না করে P.C.O (Pre-Commission officer) ব্যবহার শুরু হয়। তবে কবে থেকে বা কোন আদেশে U.O থেকে কলেজ শিক্ষকদের P.U.O (Professor Under Officer) অথবা স্কুল শিক্ষকদের T.U.O ( Teacher under Officer) নিয়ম চালু হয়েছে তা জানা যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সনে প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯২৩ সনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ UTC চালু সিদ্ধান্তঃ নেয়। ২য় ভিসি Mr. George Harry Langley কে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়। ১৯২৩ সনের ০৬ সেপ্টেম্বর কমিটি UTC ট্রেনিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ২ কোলকাতা ব্যাটালিয়ন UTC বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি এবং আসাম জিওসি মেজর জেনারেল টি এ কুইন্ট UTC-র প্রশিক্ষণের জন্য ১০০ জন ছাত্র দরকার জানালে বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে ঢাকা হল, জগন্নাথ হল, এসএম হল থেকে ১১৫ জন ছাত্র নাম লেখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ০১ কোম্পানি ক্যাডেটের প্রশিক্ষণের অনুমতি দেন ১৯২৪ সনে। নামকরন করা হয় ঢাকা UTC. 2nd Calcutta Battalion এর Adjt.(ট্রেনিং অফিসার) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ব্রিটিশ নাগরিক ঢাবি'র পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক D.W.A Jenkins কে ঢাকা UTC এর কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিষয়টি চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ভারতের প্রতিরক্ষা সচিবের নিকট পাঠানো হয়। ১৯২৭ সনের মে মাসে জিওসি'র সুপারিশসহ প্রেরিত হলে তহবিল স্বল্পতার কারনে এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় পড়ে থাকে। নানাবিধ অসুবিধার মধ্যেও ১৯২৭ সনের জুলাই মাসে ট্রেনিং শুরু হয়। ১৯২৭ সনের ০৬ নভেম্বর ঢাকা UTC গঠনের সাময়িক আদেশ প্রদান করেন ভারত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তদনুযায়ী ১৯২৭ সনের ১৬ নভেম্বর অফিসিয়ালি প্যারেডের কার্যক্রম শুরু হয়। ঢাকা UTC ১৯২৮ সনে ০৯ জুন শুরু হয় ১২ ঢাকা কোম্পানি রুপে। এরপর হতে-১৯৩০ সনের ১৫ জুলাই ড. এম পি ওয়েষ্ট UTC হতে পদত্যাগ করলে নবাব খাজা হাবিবুল্লাহকে অনারারি লেফটেন্যান্ট করে কমান্ডিং অফিসার করা হয়। ১৯৩১সনের এপ্রিলে UTC'র উপদেষ্টা কমিটি পুনগঠিত হয়। যথাঃ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার( ইংরেজ), লেফটেন্যান্ট খাজা হাবিবুল্লাহ, ব্যারিষ্টার পি কে বসু সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট এম হাসান এবং UTC'র এ্যাডজুটেন্ট। এরপরে প্রতি বছর উপদেষ্টা কমিটি পুনঃগঠিত হতো। ১৯৩৩ সনে এম হাসানকে স্হায়ীয় ভাবে ক্যাপ্টেন পদ দিয়ে কমান্ডিং অফিসার করা হয়। ১৯৩৮ সালে ঢাকা বিশ্বঃ ২টি প্লাটুন মঞ্জুর করার আবেদন করেন। সেই সাথে ঢাকা শহরের ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্রদেরকে UTC'তে ভর্তির অনুমোদনের জন্য।     ১৯৪০ সনের আগষ্টে ঢাকায় ৩ জন অফিসারসহ ১১৪-তে উন্নীত করার অনুমতি পাওয়া যায়। সেই সময় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা UTC'তে ভর্তির আবেদন জানালে প্রত্যাখাত হয়। পরে ঢাকা কলেজের ছাত্র ভাওয়াল রাজপরিবারের সন্তান নারায়ণ রায় চৌধুরীকে UTC ট্রেনিং গ্রহণে সামরিক বিভাগ অনুমতি দেয়।  ১৯৪২ সনে ক্যাপ্টেন ড. এম হাসান UTC থেকে পদত্যাগ করলে রসায়ন গবেষক লেফটেন্যান্ট ড. এটি সেনকে ক্যাপ্টেন করে কমান্ডিং অফিসার করে শরীর চর্চা বিভাগের অফিসার মোঃ মতিউর রহমান এবং অর্থনীতির প্রভাষক মাজহারুল হক-কে সেই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন দেয়া হয়। ক্যাপ্টেন ড. এম হাসান ( তৎকালীন ভিসি ০১-০৭-১৯৪২ হতে ২১-১০- ১৯৪৮ কার্যকাল) এবং লেফটেন্যান্ট ড. মাহমুদ হুসাইন (পরবর্তী ভিসি ২২- ১০-১৯৪৮ হতে ০৮-১১-১৯৫৩) UTC থেকে পদত্যাগ করে এই দুটি শূন্য পদে তারা কমিশন প্রাপ্ত হন।  এখানে উল্লেখ যে, ১৯২৭ সনে ১৬ নভেম্বর অফিসিয়ালি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে UTC প্যারেড উদ্বোধন করেন ২য় ভিসি প্রফেসর জি এইচ ল্যাংলী (মেয়াদ ০১-০১-১৯২৬ থেকে ৩০-০৬-১৯৩৪)।  অর্থাৎ ১৬ নভেম্বর ১৯২৭ সনে তৎকালীন পূর্ব বাংলা-বর্তমান বাংলাদেশের মাটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে BNCC'র আদি প্রতিষ্ঠান UOTC এবং UOTC'র আদি প্রতিষ্ঠান UTC ভূমিষ্ট হয় এক শুভ মুহূর্তে। আজ এরপর হতে-UTC-কে UOTC- তে রূপান্তরঃ ২য় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন (১৯৩৯-১৯৪৫) ১৯৪০ সনে ITF Act সংশোধন এনে ১৯৪৩ সালে UTC নাম পরিবর্তন করে UOTC- তে রূপান্তরিত হয়। ১৯৪৪ সালে ১১৪ ক্যাডেট থেকে ১৫৪তে (৫ জন অফিসার সহ) উন্নীত হয়। ০২ জুলাই ১৯৪৫ ব্রিটিশ সরকার কমিটি গঠন করেন যাতে স্কুল ও কলেজে যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষন দেওয়া যাবে। এরজন্য সামরিক বিভাগের সেনা- নৌ- বিমান এবং শিক্ষা বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের মেধাবী অফিসারদের সমম্বয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির সদস্য সচিব হলেন মিলিটারি ট্রেনিং এর ডাইরেক্টর। এই কমিটির ১ম মিটিং অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালের ২ আগষ্ট দিল্লিতে। এই কমিটির ১ম সভাপতি ছিলেন লেঃ জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা (যিনি পাকিস্তান সৃষ্টির কিছুদিন পরে গভর্নর জেনারেল এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি হন)। এই কমিটির দায়িত্ব ছিল বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাৎ করা এবং ক্যাডেট কোরের প্রশিক্ষণ বিষয়ে মতামত নেওয়া।তারা সব স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডেট কোর খোলার স্বপক্ষে মত দেন। ১৯৪৬ সনে এই কমিটির সভাপতি হন পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু এবং সদস্য সচিব বলদেব সিংহ ( ডিফেন্স মিনিস্টার)। এরপর কমিটির সদস্য গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স পরিদর্শন করেন ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী হতে ০৩ মার্চ পর্যন্ত। ভারত স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৪৭ এর আগষ্টে। সৃষ্টি হয় পাকিস্তান একই সাথে। এরপর স্বাধীন ভারতের নেতৃবৃন্দ UOTC নাম পরিবর্তন করে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সৃষ্টি করেন ১৯৪৮ সনের মার্চ মাসে কিন্তু পাকিস্তানে এর কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। ১৯৪৮ সনে ভারতীয় পার্লামেন্টে Act No XXXI Of 1948 রূপে পাস হয় এবং সারা ভারতে NCC প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান ৮ টি পদাতিক রেজিমেন্ট পায়- রেজিমেন্টে হিন্দু মুসলিম সমন্বয়ে গঠিত ছিল। উল্লেখিত ৮ টি রেজিমেন্ট হতে ৬৪টি হিন্দু কোম্পানি ভারতে ফেরত পাঠানো হয়- অপর দিকে ভারত হতে ২৯টি মুসলিম কোম্পানি পাকিস্তানে আসে। ৩৫টি কোম্পানির ঘাটতি পড়ে পাকিস্তানের ভাগে। ১৯৪৮ সনে ১৫ ফেব্রুয়ারী East Bengal Regiment এর ১ম ব্যাটালিয়ন সৃষ্টি হয়। একই বছর ২য় ব্যাটালিয়ন গঠিত হয় ডিসেম্বর মাসে। এসব সৈন্য দেশ ভাগের পর ভারতের বিহার রেজিমেন্ট হতে আগত মুসলিম। পাকিস্তানের সেনাবিভাগ ১৪ ডিভিশনের নিয়ন্ত্রনাধীন ছিল। কাজেই UOTC ১৪ ডিভিশনের সরাসরি পরিচালনায় এসে যায়। এই ডিভিশনের বিধান UOTC ডিটাসমেন্টের উপর বর্তায়। UOTC যেহেতু ১৪ ডিভিশনের নিয়ন্ত্রনাধীন ছিল UOTC এর PTFO (Pakistan Tretorial Force officer) ও ক্যাডেটদের জন্য সোলডার ব্যাজ (রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মুখমন্ডলে ছাপ) একই প্রকার রাখা হয়। পোষাক নিয়মিত সৈন্য ও UOTC সদস্যদের একই প্রকার হয়। শুধু ক্যাপ ব্যাজ পৃথক করা হয়। UOTCর ব্যাজের মধ্যে লেখা হয় Unity, Faith, Discipline অর্ধচন্দ্রাকারে লিখিত ছিল University officer Training Corps. ১৯৪৮ বছরে লেফঃ মোঃ মতিউর রহমানকে ক্যাপ্টেন করে কমান্ডিং অফিসার দায়িত্ব দিয়ে কোম্পানি হতে ব্যাটালিয়নে উন্নতি করা হয়। ৩১ জানুয়ারী'৪৮ ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান তৎকালীন জিওসি মেজর জেনারেল আইয়ুব খানকে( পরবর্তীতে তিনি ফিল্ড মার্শাল ও রাষ্ট্রপতি হন) আবেদন করেন ব্যাটালিয়ন করার জন্য। জিওসি'র সুপারিশের ফলে ০১ ডিসেম্বর'৫০ একপত্রের মাধ্যমে একটি পূর্ণ ব্যাটালিয়ন ৬৪৭ জনের (২২জন অফিসারসহ) গঠনের নির্দেশ পাওয়া যায়। ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের বড় বড় জেলা শহরের কলেজে UOTC খোলার ব্যবস্থা করেন।